অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও বুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার জায়গায় নতুন ডিএসডব্লিউ হিসেবে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) তাকে ডিএসডব্লিউর অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে বুয়েট প্রশাসন।
বুয়েটের রেজিস্টার অধ্যাপক মো. ফোরকান উদ্দিনের সই করা ওই অফিস আদেশে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমানকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক আল আমিন সিদ্দিকের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিককে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হল। তিনি অতিরিক্ত এ দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়মানুযায়ী ভাতা ও সুযোগ-সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ২০১৯ সালের ৩০ জুন থেকে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি।
গত ২৮ মার্চ গভীর রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ একদল নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা যে ছয় দফা দাবি জানিয়েছিলেন, তার মধ্যে ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়ার দাবিও ছিল।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর হলের সিট বাতিল করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল, রাব্বীই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের সমাগম ঘটিয়েছিলেন।
পরে রাব্বীর রিট আবেদনে হলের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেয় হাই কোর্ট। তার আলাদা আবেদনে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করে উচ্চ আদালত। তাতে প্রকৌশল শিক্ষার এই বিদ্যাপীঠে ছাত্র রাজনীতি ফেরার পথ খোলে।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার